আশুরা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

মহররম শব্দের অর্থ হলো সম্মান বা মর্যাদা। আশুরা শব্দের অর্থ দশম। আরবি হিজরী সনের প্রথম মাস মহররম। এটি হলো একটি বরকতময় মাস। আরবি ১২ মাসের মধ্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন চারটি মাসকে পবিত্র বলে ঘোষণা করেছেন তার মধ্যে অন্যতম একটি হল মহররম মাস। সে মাস গুলো হলো জিলকদ জিলহজ ও মহরম এবং রজব মাস। মহান আল্লাহতালা বলেছেন এই চারটি মাসের মধ্যে তোমরা নিজেদের ওপর ও অন্যদের উপর কোন জুলুম করোনা। মহররম মাসের ১০ তারিখে আশুরা বলে। আশুরাতে নভোমন্ডল সৃষ্টি কুলের প্রাথমিক বিভাজন প্রক্রিয়া সূচনা হয়। হযরত আদম আলাই সাল্লাম এর সৃষ্টি উত্থান ও অবনমন সব ঘটনায় ছিল আশুরায়।


সূচিপত্রঃ

  • আশুরা রোজা
  • আশুরা রোজার ফজিলত
  • কারবালার ইতিহাস
  • কারবালার যুদ্ধ 
  • কারবালার যুদ্ধ কেন সংঘটিত হয়
  • ইয়াজিদকে
  • ইয়াজিদের কি হয়েছিল কারবালা যুদ্ধের পর
  • আশুরার দিন তওবা ও ইস্তেগফারের দিন
  • আমাদের শেষ কথা

আশুরা রোজাঃ

মহররম মাস স্মরণ করিয়ে দেয় ত্যাগ ও আদর্শের। প্রত্যেক মুসলমান তাদের হৃদয় দিয়ে অনুভব করে মহাররম মাসকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাম এই মাসে সিয়াম পালন করতে বলেছেন। যা হাদিসে এসেছে নিম্নে দেওয়া হলঃ

১।  হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণনা করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন ''রমজানের পর সর্বাধিক ফজিলতপূর্ণ রোজা হল মহান আল্লাহ তাআলার মাস মহরমের রোজা"।

২।  হাদিসের বর্ণিত মহরমের রোজা মূলত দশে মহরম তথা আশুরার রোজা বলা হয়। এদিন রোজা রাখা অধিক মর্যাদাপূর্ণ ও বরকত এর উৎসও বটে। 

৩।  হযরত আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত আছে যে আশুরা রোজা সম্পর্কে নবী করীম সাঃ কে জিজ্ঞেস করা হলো তখন তিনি বললেন আশুরার রোজা বিগত বছরের পাপ মোচন করে। অতীতের যতসব নবী রাসূল সাল্লাম আবির্ভূত হয়েছে তাদের যুগে আশুরার রোজার আমল ছিল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় থাকতেও আশুরার রোজা পালন করতেন। 


মদিনায় হিজরতের পরেও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখতে পেলেন, ইহুদীরা এইদিনে রোজা রাখছে। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন যে এটা কিসের রোজা তারা উত্তর দিল যে মূসা আলাইহিস সালাম ও তার কাউমেরা ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন তাই তারা এই দিনে একটা রোজা করেন। ঠিক তখনই রাসূলুল্লাহ সাল্লাম বলেন এরপরে যখন এই দিন আসবে তখন আমি দুইটি রোজা পালন করব। তখন থেকেই রাসূলুল্লাহওয়া সাল্লামের কথা অনুযায়ী মুসলমানেরা দুইটি করে রোজা পালন করে।

আশুরা রোজার ফজিলতঃ

হিজরী সনের চারটি মাসে মহান আল্লাহতালা যুদ্ধ করা ও হত্যা করা সম্পূর্ণ নিষেধ করেছেন। ইসলাম পূর্ব যুগ থেকে মানুষ এই দিনে রোজা রাখত। তাদের জন্য এ দিনে ফরজ রোজা। ইসলাম আসার পর রমজানের রোজা ফরজ করা হলে তা শূন্যত হিসাবে গণ্য হয়। হাদীস শরীফে এমনটি বর্ণিত রয়েছে যে আইএসএসটিকা রহমাতুল্লাহ আলাই তিনি বলেন জাহিলিয়া যুগে আশুরার দিনে কুরাইশরা ও নবী সালাম সাওম পালন করতেন। যখন তিনি মদিনায় হিজরত করলেন তখন তিনি নিজে আশুরা শাওম পালন করতেন এবং অন্যকে পালন করার জন্য নির্দেশ দিতেন।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু সালাম বলেছেন আশুরা ব্যাপারে আমি আশাবাদী আল্লাহ তায়ালা এর উসিলায় অতীতের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। মহরম মাসের ফজিলতপূর্ণ আমলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মহররমের প্রথম ফজিলত তাৎপর্য হলো, আরবি হিজরী বছরে সূচনা এই মাস থেকে শুরু করা হয় ১২ মাসের মধ্যে প্রথম মাস মহরম। 


নবী নূর আলাই সাল্লাম এর কিস্তি চল্লিশ দিন ও ৪০ রাতের বন্যার পর যদি পর্বতে অবতরণ করেছিল। আশুরার এই দিনে এই ঘটনাটি আল্লাহর রহমতে এবং নবী নূহ আলাইহিস সালাম ধৈর্যের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখিত।

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আশুরার দিন হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কে নমরুদের অগ্নিকুণ্ড হতে রক্ষা করেছিলেন। আল্লাহর নির্দেশে আগুন ঠান্ডা হয়ে ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর জন্য শান্তি হয়ে যায়।

মহান আল্লাহ তা'আলা নির্দেশে আশুরার এই দিনে হযরত ইউনুস আলাইহিস সালামকে মাছের পেট থেকে মুক্তি পায়। হযরত ইউনুছ আলাই সাল্লাম কে একটি বড় মাছ গিলে ফেলেছিল।

কারবালার ইতিহাসঃ


হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নাতি হাসান ও হোসাইন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হেরা গুহায় ইয়া উম্মতি ইয়া উম্মাতি বলে কান্না করছিল মহান আল্লাহতায়ালার নিকট মাথা নত করে সিজদায় পড়েছিল মাথা তুলতে ছিল না। ঠিক তখনই জান্নাতি রমণীদের সরদার হযরত ফাতেমাতুর জহুরা রহমাতুল্লাহ আলাইহি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন যে নবীর উম্মতের জন্য আমি আমার দুই ছেলে হাসান হোসেনকে আল্লার নামে কুরবানী করে দিলাম। মহান আল্লাহতালা মায়ের দোয়া কবুল করে নিলেন। হাসান ও হোসাইন পরবর্তীতে শহীদ হয়ে গেল।

রক্তে লালে লাল হইল কারবালার ময়দান শহীদ হলো ইমাম হোসেন নবীর জানের জান। মা ফাতেমার নয়ন মনি হযরত আলীর জান ইমাম হোসেন শহীদ হল কারবালার ময়দান। পৃথিবী যতদিন থাকবে এই গানগুলো ঠিক ততদিন পৃথিবীর বুকে থাকবে।

কারবালার যুদ্ধঃ  

কারবালার যুদ্ধ ইসলামিক হিজরী অনুযায়ী ১০ই মহরম অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ইরাকের জমিনে ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তর যেখানে কারবালার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। ইমাম হোসাইন রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ৭২ জন কাফেলা নিয়ে কুফা নগরীর দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে ইমাম হোসেন রহমাতুল্লাহ আলাইহির ঘোড়ার পা যখন বালির নিচে টানতে থাকে ঠিক তখনই তিনি বুঝতে পারেন এটাই সেই জায়গা যেখানে তিনি শহীদ হবেন। মহররমের ১ তারিখ ইমাম হোসাইন ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে তাঁবু গেড়ে অবস্থান করলেন। পরবর্তীতে ৯ তারিখ রাতে ইমাম হোসাইন রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সবাইকে ডেকে বললেন তোমরা এখান থেকে কারবালার প্রান্ত ছাড়ো। এ কথা শুনে ৭২ জন কাফেলা ছিল একজনও সেখান থেকে যায়নি সবাই শহীদ হয়েছে।



দশ তারিখ মহরম মাসের ইয়াজিদ সন্যরা ইমাম হোসেন রহমাতুল্লাহ আলাইহি নৃশংস ভাবে হত্যা করেন। কারবালার প্রান্তরে মহরমের 10 তারিখ হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর দৈত্য হোসাইন রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মর্মান্তিক শাহাদাত বরণ আশুরা কে আরো গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমন্ডিত করেছেন। ফলে কারবালা সংক্রান্ত ইতিহাস মুসলিমের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর আশুরার জুম্মার দিনে ৬১ হিজরীতে তিনি শহীদ হন হযরত ইমাম হোসাইন রাহমাতুল্লাহ।

কারবালার যুদ্ধ কেন সংঘটিত হয়ঃ

ইমাম হোসাইন রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর সংগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল খিলাফত ব্যবস্থার পুনরজীবন। এর বিরুদ্ধে খুব কুফফা বাসী সাহায্য প্রতিশ্রুতি আশ্বস্ত হয়ে ইমাম হোসাইন আমাদের সকলকে কুফফা  নগরী উদ্দেশ্যে রওনা হন। ফোরাত নদীর তীরে কারবালার নামক স্থানে পৌছালে কুফার গভর্নর আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াজীদ তাকে বাধা দেয়। রক্তপাত ও খুনাখুনির উদ্দেশ্যে হোসাইন তাদেরকে তিনটি প্রস্তাব দেন সেগুলো হলঃ
১। তাকে মদিনায় ফিরে দেওয়া হোক।
২। তুর্কি সীমান্তের দুর্গে অবস্থান করতে দেওয়া হোক।
৩। ইয়াজিদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দামেস্কে পাঠানো হোক।

কিন্তু ওবায়দুল্লাহ ইবনে জিহাদ নিঃশর্তে আত্মসমর্পণ করে তার হাতে দেন হযরত হুসাইন রাজি আল্লাহ তায়ালা আনহু ঘৃণা ভোরে তার এ আদেশ প্রত্যাখ্যান করলেন। অবশেষে ওবায়দুল্লাহ ইবনে জিহাদের 40 একটি বাহিনী হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে অবরুদ্ধ করে ফেলে এবং বন্ধ করে দেয়। হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু তাঁবুর ভিতরে পানির হাহাকার শুরু হয় কারো কাছে কোন পানি নাই। তিনি ঘোষণা দিলেন আমি যুদ্ধ করতে আসি নাই, এমন কি ক্ষমতা দখল আমার উদ্দেশ্য নয়।

ইয়াজিদ কেঃ

ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু খিলাফত লাভের মাধ্যমে উমাইয়া পরিবার ক্ষমতায় আসে। তবে উমাইয়া বংশের শাসন খিলাফত ব্যবস্থায় শুরু করেন মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু। উমাইয়াদের প্রথম খলিফা হচ্ছেন হযরত মুয়াবিয়ার রাজিআল্লাহ আনহু। হযরত মুয়াবিয়া রাঃ কে আরব বিশ্বের প্রথম রাজা বলা হয়।

ইয়াজীদ ইবনে মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান। (২০ জুলাই ৬৪৭-১৪ নভেম্বর ৬৮৩) সাধারণত প্রথম ইয়াজিদ বলে পরিচিত তিনি।  ঊমাইয়ার খিলাফতের দ্বিতীয় খলিফা। উত্তরাধিকার সূত্রে খলিফা লাভ কারীদের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম খলিফা হন। তার পিতা মুয়াবিয়া মৃত্যুর পর ৬৮০ সনের এপ্রিল মাসে সিংহাসন আহরণ করেন। তিনি তিন বছর শাসন কার্য পরিচালনা করেছিলেন।

ইয়াজিদের কি হয়েছিল কারবালা যুদ্ধের পরঃ

ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বেদনাদায়ক ঘটনা হলো কারবালা। অনেক আগেই হাসান হোসাইন এর মা আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর উম্মতের জন্য তার সন্তান দুজনকেই কুরবানী করেন। কারবালার দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর প্রিয় নাতি ইমাম হোসাইন ও তার ৭২ জন সঙ্গে নিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সবচাইতে বেশি দায়ী তিনজন ব্যক্তি। তারা হলেন সীমার বিন জুলজওশান যিনি নিজে হাতে খুন করেছিলেন ইমাম হোসেনকে, এরপর আব্দুল্লাহ ইবনে জিয়াদ যিনি ছিলেন তখনকার কুফা নগরীর গভর্নর। ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া যার নির্দেশেই সম্পূর্ণ করা হয়েছিল কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা। কিন্তু এমন জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের পর শেষ পরিণতি কি হয়েছিল এই তিন ব্যক্তির?

ইসলামে ইয়াজীদ একমাত্র খলিফা যার দ্বারা ইসলামের সবচাইতে বেশি অবদমিত হয়েছে। ৬৮০  সালে মে মাসে ক্ষমতাগ গ্রহণের চার মাসের মাথায় শুরু হয় যুদ্ধ। কারবালার যুদ্ধ। হত্যা করে শেষ নবীর প্রিয় নাতি ইমাম হোসেনকে। এরপর দ্বিতীয় বছরে আক্রমণ করে মদিনা লন্ডভন্ড করে দেয় মসজিদে নববী। আর জীবনের শেষ বছরে এসে ইয়াজিদ আগুন ধরিয়ে দিল মুসলমানের পবিত্র স্থান কাবা ঘরে। এই তিনটি বড় অপরাধ করে মুসলমানের কাছে ইয়াজিদ ঘৃণিত ব্যক্তি পরিণত হলো। কাবা ঘরে আগুন লাগানোর ১১  দিনের মাথায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় ইয়াজিদের। শেষ হয় তিনটা বছর নয় মাস এর ক্ষমতা সময়টা বাড়ে নভেম্বর ৬৮৩ খ্রিস্টাব্দ। ইসলাম মুক্ত হয় এক জালিম শাসকের হাত থেকে।

আশুরার দিন তওবা ও ইস্তেগফারের দিনঃ

আমরা সবাই জানি দশই মহরম আশুরার দিন। এই দিনে সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুসরণ করে অনেকেই রোজা রাখেন এর আগে বা পরে একদিন আরও একটি রোজা রাখেন। মোট দুটি রোজা রাখেন। রোজা রাখার মত এই দিনগুলো আর গুরুত্বপূর্ণ আমল বেশি হল ইস্তেগফার পাঠ করা ও তওবা করা। কেননা এই দিনে মহান আল্লাহতালা পঊরবর্তী উম্মতের তওবা কবুল করেছেন। হাদিসে এসেছে নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর নিকট এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল হে রাসুল রমজানের পর আপনি কোন মাসের রোজা রাখার নির্দেশ দেন? উত্তরে নবী করীম সাল্লাহু সালাম বলেন তুমি যদি রমজানের রোজার পরেও আর কোন মাসে রোজা রাখতে চাও তাহলে মহররমের রোজা রাখ। কেননা সেটি আল্লাহর মাস। সেই মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যেদিন আল্লাহ তায়ালা অনেকের তওবা কবুল করেছেন। ভবিষ্যতেও সেদিন আরও মানুষের তওবা কবুল করবেন।

আমাদের শেষ কথাঃ

আজ পবিত্র আশুরা। হিজরী সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাগ্য নির্য পূর্ণ পরিবেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয় পবিত্র আশুরা। কারবালার সভ্য ও বার্তা নিয়ে আসে পবিত্র আশুরা। পবিত্র আশুরা আজকে বুধবার সরকারি ছুটি। পবিত্র আশুরার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার বিশেষ নিবন্ধন প্রকাশ করেছে এছাড়াও বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন সহ বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যম এবং স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের এ দ্বীনের তাৎপর্য তুলে ধরেছে। আপনারা এই আর্টিকেলটা পড়লে আশুরা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে পারবেন।














Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url