ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় - ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায়

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় ও ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় - প্রিয় ভিউয়ার্স, আশা করছি ভাল আছেন। আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। আপনার জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় - ব্লগিং করে টাকা আয় করার

বর্তমানে বাংলাদেশে হাজার হাজার বেকার ছেলে/মেয়েরা ওয়েব সাইটে ব্লগিং করে মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে। আপনি যদি ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ব্লগিং কি?

ব্লগিং হলো এক ধরনের ওয়েবসাইট। একটি ওয়েবসাইটে আপনার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে একজন পাঠক যে বিষয়ে গুগলে সার্চ করে বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জানতে চাই। পাঠকদের জন্য সে বিষয়ে আর্টিকেল লিখে ব্লগারের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স এপ্লাই করে অ্যাড দেখিয়ে ব্লগিং করে টাকা আয় করা যায়।

সহজ ভাষায় বলতে আপনি একটি বিষয়ে গুগলে সার্চ করে পড়ছেন। এই পোস্টটি একজন ব্লগারের কনটেন্ট। একজন ব্লগার এই আর্টিকেলটি তার ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে পাবলিশ করেছেন। অর্থাৎ আপনি এখন যেহেতু এই পোস্টটি পড়ছেন। এর মানে আপনি একটি ওয়েবসাইটের ব্লগ পোস্ট সার্চ করেছেন। 

বর্তমানে বিশ্বের ইন্টারনেটের সংযোগ ও নেটওয়ার্ক উন্নতি হওয়ার কারণে বিশ্বের অনেক মানুষ অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করছে। বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে বড় নেটওয়ার্কের গুগল কোম্পানি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে তাদের এড ব্লগার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে যেমন তাদের জন্য ইনকাম হচ্ছে। ঠিক তেমনি একটি ব্লগারের সেই অ্যাড পাবলিশ করে মাসে লাখ টাকার মত ইনকাম করছে।

আশা করি যারা আমাদের আজকের আর্টিকেল ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এবং ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় এই পর্বে ব্লগিং কি এই পর্যন্ত পড়ছেন। তারা নিশ্চয়ই ব্লগিং কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের মধ্যে ধারণা এসে গেছে।

কেন করবেন ব্লগিং

মনে করেন আপনি কম্পিউটারে বা আপনার হাতে থাকা মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। এখন যদি আপনি জানতে পারেন অনলাইনে লগইন করে লেখালেখির মাধ্যমে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা যায় তাহলে আপনি কি এই সুযোগটি ছাড়বেন। 

অবশ্যই না। আপনার জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটি অনেক সাহায্য করবে আপনার লেখালেখির মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আমাদের আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।

বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশ অনেকেই ব্লগিং করে বড় বড় সফল ফ্রিল্যান্সার হয়েছেন। তারা প্রতি মাসে লাখ টাকার উপর ইনকাম করছেন। শুধুমাত্র ব্লগার ওয়েবসাইটে লেখালেখির মাধ্যমে।

প্রতিদিন গুগলে সার্চ করে কোটি কোটি মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান। আর সেই বিষয়গুলি আপনি ব্লগার ওয়েবসাইটে কিওয়ার্ড রিচার্জ করে পাঠক জানতে চায়। সে বিষয়ে বিস্তারিত লেখে গুগলে পাবলিশ করে। আপনি গুগল এডসেন্স থেকে মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি একজন বেকার ছেলে অথবা মেয়ে হয়ে থাকেন। আপনি যদি এই সময় পড়াশোনা করে থাকেন। কিন্তু আপনার পরিবার থেকে আপনাকে খরচ দিতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আপনি যদি আপনার পরিবারে পরিশ্রম কমাতে চান এবং নিজে কিছু করতে চান।

তাহলে আপনার জন্য ঘরে বসে থেকে অনলাইনে আপনার ল্যাপটপ /কম্পিউটার অথবা একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই এই ডিভাইসটির মাধ্যমে অনলাইনে আর্টিকেল লেখালেখি করে প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, কেন ব্লগিং করবেন।

  • ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুগলে সার্চ করে নিজে কিছু জানা এবং সে বিষয়ে অন্যকে বিস্তারিত ভাবে জানানো।
  • অন্যকে জানানোর মাধ্যমে নিজের পার্সোনালিটি গুগল এর কাছে জানান দেওয়া। যাতে করে গুগল বুঝতে পারে আপনি একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার।
  • আপনি যদি ব্লগিং করেন। তাহলে প্রতি মাসে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন। এবং নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারবেন।
  • আপনি যদি কোন ব্যবসা করে থাকেন। সে ব্যবসা বিভিন্ন প্রোডাক্ট সার্ভিস মানুষের কাছে খুব সহজে পৌঁছে দিতে পারবেন এই ব্লগিং করার মাধ্যমে।
  • আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে সারা বিশ্বে পরিচিত করতে পারবেন। এবং সবাই আমার আপনাকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে জানবে।
  • বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সার দের সম্মানের পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

ব্লগিং করতে কি প্রয়োজন - ব্লগিং করার জন্য কি কি দরকার । ব্লগিং করে টাকা ইনকাম

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা এ সকল প্রশ্ন করে থাকেন। সত্যি কি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা যায়। আর যদি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা যায় তাহলে ব্লগিং করতে কি কি প্রয়োজন হয় বা ব্লগিং করার জন্য কি কি দরকার হয়। তাই আপনাদের সুবিধার্থে নিচে আমি জানাবো ব্লগিং করতে কি কি প্রয়োজন।

আপনি যদি কম্পিউটারে বা আপনার স্মার্ট ফোনে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। তাহলে আপনার উচিত ব্লগিং অর্থাৎ ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রাইটিং করা। একটি ওয়েবসাইটে ব্লগিং করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি ভাল কনফিগারেশনের ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার অথবা একটি স্মার্টফোন যার মাধ্যমে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করে। গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে। গুগলের অ্যাড প্রচার করে প্রতিমাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারেন।

কিভাবে ব্লগিং শুরু করব 

সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ এই সকল প্রশ্ন গুগলে সার্চ করে থাকেন। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যারা ব্লগিং কি এবং কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে থাকবেন। কিন্তু অনেকে আছে যারা নতুন তারা কিভাবে ক্লবিং শুরু করব এ সকল প্রশ্ন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আপনি কিভাবে নতুন হয়ে ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারবেন। এই বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ব্লগিং দিয়ে ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনার সর্বপ্রথম প্রয়োজন হবে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ বা একটি স্মার্টফোন। আপনার কাছে সকল ডিভাইসের মধ্যে যেকোনো একটি ডিভাইস হলে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।

প্রথমে আপনি ব্লগার ডট কম দেখে গুগলে সার্চ করবেন। আপনার সামনে গুগল কোম্পানির সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগার ওয়েবসাইটটি ওপেন হবে। আপনি যদি নতুন একজন ব্লগিং আর্টিকেল রাইটার হতে চান। সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনি অনেক অসুবিধায় করতে পারেন। যদি কোন নির্দিষ্ট গাইডলাইন না থাকে। আপনি যদি গাইডলাইন হিসেবে জানতে চান তাহলে আমাদের এই ভিডিও দেখে আপনি খুব সহজে ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিও দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

আপনি যদি এই ভিডিও দেখে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এই ভিডিও দেখে আপনি সামান্য কিছু স্টেপ ফলো করলে আপনি ব্লগার তৈরি করতে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এখন আপনাকে ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করতে হবে। 

আপনার ওয়েবসাইটটি কাস্টমাইজ করার জন্য আপনার একটি থিম প্রয়োজন হবে। থিম ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন। যারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেল সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই এই ভিডিওগুলি দেখে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনার সেটিং প্যানেলে অপশন গুলো দেখতে পাচ্ছেন যেখানে আপনি সেটিং এবং থিম লেআউট এবং অপশনগুলি থেকে আপনার ওয়েবসাইট খুলে একদম সুন্দরভাবে আপনার মত করে কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন। 

কিভাবে কাস্টমাইজ করবেন। কিভাবে থিম আপলোড করবেন এই বিষয়ে যদি আরো বেশি ক্লিয়ার জানতে চান। তাহলে এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এখন আপনার ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য সকল কাজ করা শেষ। আপনার এখন আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করার সময়। আপনি যত ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিচার্জ করে বেশি সময় দিয়ে আপনার ধারাবাহিকভাবে টাইম মেইনটেইন করে প্রতিদিন একই সময় দুইটি আর্টিকেল পাবলিশ করবেন।

এতে করে গুগলের রোবট আপনার ওয়েবসাইট নিয়মিত আপডেট হওয়ার কারণে গুগলে আপনার ‍ রেংকিং বাড়বে। গুগলে কাছে আপনার তত ডিমান্ড বাড়বে এবং আপনি গুগল এডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে ব্লগ পোস্ট লিখবেন - ব্লগ পোস্ট লেখার নিয়ম

একটি ওয়েবসাইটকে গুগলের কাছে ডমেইন অথোরিটি বাড়াতে এবং ব্লক পোস্ট রেংকিং নিতে সাহায্য করে ব্লগের পোস্ট। আপনি যদি সঠিক নিয়মে আর্টিকেল না লিখতে পারেন তাহলে সে আর্টিকেল থেকে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন না। কারণ সে আর্টিকেল থেকে আপনি বেশি ক্লিক আশা করতে পারেন না। তাই আপনাকে সঠিক নিয়ম মেনে ব্লগ পোস্ট লিখতে হবে। সঠিকভাবে আপনি কিভাবে ব্লগে পোস্ট লিখবেন এর জন্য আপনাকে ব্লক পোস্ট লেখা সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে।

১। প্রথমে আপনাকে সঠিকভাবে কি ওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।  একটি পোস্টে কি ওয়ার্ড রিচার্জ করার সময় দুই থেকে তিনটি কিওয়ার্ড রিচার্জ করবেন। এই দুই থেকে তিন কিওয়ার্ড আপনার আর্টিকেলে পোস্টের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জায়গায় ব্যবহার করবেন। সব সময় এটি খেয়াল রাখবেন উল্টাপাল্টা এবং হিজিবিজি করে কোন আর্টিকেল লিখবেন না। এতে করে পাঠকের দৃষ্টি খারাপ হয় এবং সে পাঠক আর্টিকেল না পরে সে ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হয়।

২। আপনার পোস্টে শুরু করার পূর্বে একটি সূচীপত্র দিয়ে দিবেন। যাতে করে পাঠকরা খুব সহজে বুঝতে পারে আপনার আর্টিকেলে আপনি কি বিষয়ে বুঝাতে চেয়েছেন। এবং আর্টিকেল পড়ে পাঠকরা খুব সহজেই যেন বুঝতে পড়ে আপনার গোটা আর্টিকেলে কি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

৩। আপনার আর্টিকেলের একটি একটি সুন্দর টাইটেল রাখবেন। অর্থাৎ যেটিকে বলে হেডলাইন।। যাতে করে একজন পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আপনার আর্টিকেলের ইন্ট্রো সেটাকে বলা হয় ভূমিকা আপনি পাশ থেকে দশ লাইনের মধ্যে সুন্দরভাবে ভূমিকা লিখবেন যাতে একজন ভিজিটর বা পাঠক আপনার পোষ্টের ইন্ট্রো বা ভূমিকা দেখে বুঝতে পারে আপনার আর্টিকেলের মধ্যে কি বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনার আর্টিকেলের ভূমিকায় ৫ থেকে ১০টি হেডলাইন ব্যবহার করে লিখবেন। এতে করে আপনার পোস্টে আসা পাঠক আকৃষ্ট হবে এবং সে আর্টিকেলটি পড়তে পছন্দ করবে।

৪। আপনার প্রশ্নের যে মূল কিওয়ার্ড রয়েছে সেই মল কিওয়ার্ড আপনি সাব হেডিং ব্যবহার করে সে বিষয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। খেয়াল রাখবেন যদি ওই বিষয়ে আরো কোন তথ্য দিয়ে ওই আর্টিকেলটি আরো সুন্দরভাবে সাজানো যায় এবং পাঠকের উপস্থাপন করে আকৃষ্ট করা যায়। সেটি করতে কোন দ্বিধা না রেখে করে ফেলবেন। আপনার উদ্দেশ্য পাঠককে নির্দিষ্ট করে আর্টিকেল লেখা। তাই আপনাকে সবসময় পাঠকের কথা চিন্তা করে আর্টিকেল লিখতে হবে।

৫। পোষ্টের মধ্যে এসইউ ফ্রেন্ডলি পিকচার ব্যবহার করা। একটি আর্টিকেলের সৌন্দর্য বজায় রাখতে সর্বনিম্ন দুটি পিকচার ব্যবহার করা উচিত। যাতে করে আপনার পাঠকরা আর্টিকেল পাশাপাশি পিকচার দেখতে আগ্রহ বোধ করে। একটি পোষ্টের পিকচার সেই আর্টিকেলের সৌন্দর্য দ্বিগুণ করে দিতে সাহায্য করে। এতে করে পাঠকরা সেই আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহ বোধ করে এবং সেই আর্টিকেল থেকে ইনকাম ভালোই হতে থাকে।

৬। পোষ্টের মধ্যে কোন হিজিবিজি করে লিখবেন না এক লাইনের সাথে আরেক লাইন যুক্ত হয়ে গেছে এমন করে আর্টিকেল লিখবেন না। এতে করে পাঠকের আর্টিকেল বুঝতে অনেক বিরক্ত বোধ হয়। এবং সে আর্টিকেল না পড়ে সে ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হয়। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট বৃদ্ধি পায় এবং আপনার ওয়েবসাইট ক্ষতির দিকে করতে পারে।

৭। যখন যে বিষয়ে লেখালেখি করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। যাতে আপনার পাঠক সে বিষয়ে আরো বেশি কিছু জানতে পারে। এতে করে সে পাঠকের অনেক উপকার হবে। আর্টিকেল লেখার সময় সব সময় চেষ্টা করবেন জাস্টিফাই এলাইমেন্ট ব্যবহার করে আর্টিকেল লেখার। এতে করে আপনার আর্টিকেলটি বইয়ের লেখার মতন দেখতে লাগবে। আর্টিকেলটি দেখতে সুন্দর হবে এবং পড়তে অনেক সুবিধা হবে।

৮। একটি পোস্ট লেখার শেষে অবশ্যই আপনি শেষ কথা লিখে শেষ করবেন এবং সেখানে আপনার মতামত জানাবেন। একজন পাঠক একটি আর্টিকেলের শেষ পর্যায়ে একটি মতামত সম্পর্কে জানতে আগ্রহ বোধ করে। তাই আপনি যখন আর্টিকেল লিখে শেষ করবেন। তখন অবশ্যই শেষে আপনি একটি শেষ কথা বলে কিছু লিখে দিবেন তাতে পাঠকরা সে বিষয়ে আরো ভালো বুঝতে পারে।

আশা করি এই নিয়মগুলি আপনি যদি ফলো করে সম্পন্ন আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে লিখে গুগলে পাবলিশ করেন অবশ্যই আপনার আর্টিকেল 100% ইনডেক্স হবে এবং google এ ভালো rang করবে। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে ডোমেন অথরিটি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি ভাল ক্লিক আশা করতে পারেন এবং ভালো ইনকাম নির্দ্বিধায়ই পেতে পারেন।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

আমাদের আজকের পোষ্টের মূল বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে চলে এসেছি। আমাদের সকলেরই একটি প্রশ্ন মাথায় সবসময় ঘুরপাক খায় যে বলে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়। এবং ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় কি। আপনি যদি আমাদের আজকের আর্টিকেলকে সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আপনাকে আর কোথাও খোঁজাখুঁজি করে দেখতে হবে না যে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়।


সাধারণত ব্লগিং করে আপনি যদি কত টাকা আয় করা যায় এ বিষয়ে জানতে চান। তাহলে এই প্রশ্নের কোন উত্তর নেই। কারণ যারা ব্লগিং করে তাদের ইনকামের কোন সীমা নেই। অর্থাৎ আপনি যদি এক মাসে এক হাজার ডলার পান পরবর্তী মানুষের দেড় হাজার ডলার পেতে পারেন। এ কারণে আপনার ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো মোটেও সম্ভব নয়।


আপনি যদি ব্লগিং করে ক্যারিয়ার গড়তে চান। তাহলে আপনাকে ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত সকল বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আপনি যদি একটি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করে গুগল এডসেন্স থেকে গুগল এর বিজ্ঞাপন বা অ্যাড দেখিয়ে আপনি মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন।


ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় - ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায়


আপনি যদি ভালভাবে কাজ করেন। তাহলে আপনার প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম আসতে পারে। একবার যদি আপনি হাই লেভেলে চলে যান। তাহলে আপনার ইনকাম দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। গুগল এডসেন্স আপনাকে প্রটেক্ট করবে।


ব্লগিং সাইডে এন্ড নেটওয়ার্ক গুলি যেমনঃ google এডসেন্স নেটওয়ার্ক, এ ছাড়া মোস্ট পপুলার ২ অ্যাড নেটওয়ার্ক নেটওয়ার্ক ছাড়াও বাংলাদেশে অনেক ধরনের এন্ড নেটওয়ার্ক আছে। যেগুলি যুক্ত করে আপনি প্রতি মাসে ভালো মানের ডলার ইনকাম করে ব্লগিং করতে পারবেন।


এছাড়াও আপনি চাইলে যদি আপনার কোন কোম্পানি বা কোন প্রোডাক্ট থেকে থাকে। তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সারা বিশ্বে অথবা নির্দিষ্ট লোকেশন এর মাধ্যমে আপনার বিজ্ঞাপন দেখে আপনার প্রোডাক্টটি বিক্রয় করতে পারেন এবং সেখান থেকেও ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণতো এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্লগিংয়ের প্রতি মাসে ভালো মানে ইনকাম করতে পারবেন।


বিজ্ঞাপন প্রসারে মাধ্যমে আপনি যেমন আপনার ব্লগিং থেকে ইনকাম করতে পারবেন এবং আপনার প্রোডাক্ট এর এড দেখিয়ে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে বাংলা আর্টিকেল লিখে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করা যায়। আপনি যদি ওয়েবসাইটের শ্রম দিয়ে কাজ করে থাকেন। তাহলে আপনার শ্রমের মূল্য আপনি অবশ্যই পাবেন।


আপনার ওয়েবসাইডে আর্টিকেল সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করবেন। যাতে পাঠকের ভালো লাগে এবং পোস্টটি পরে পাঠক উপকৃত হন। ব্লক থেকে আপনি যদি প্রতি মাসে হাজার ডলার করতে চান তাহলে আপনাকেই অবশ্যই আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে । উপরে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছি। আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলি দেখলে আপনি অবশ্যই উপকার পাবেন।


আশা করি আজকে আর্টিকেলটি এই পর্যন্ত পড়ে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এবং ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।


বাংলা ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম

আপনি যদি বাংলায় আর্টিকেল লিখতে পছন্দ করেন অথবা বাংলা ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম কি পরিমানে হয় সম্পর্কে জানতে চান। এই কথার উত্তর দিতে গেলে সাধারণত দুভাবে বাংলাদেশ থেকে আর্টিকেল পাবলিশ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ইংলিশে পাবলিশ করেন তাহলে আপনি আমেরিকান বা ইন্টারন্যাশনাল স্টেজ এর বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল পাবেন। 


এছাড়া আপনি যদি বাংলা আর্টিকেল লেখেন তাহলে তো বাংলাদেশ থাকবেই। এছাড়াও আপনি চাইলে বাংলা এবং ইংলিশ মিস করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আর্টিকেল লিখতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটে এতে করেও আপনি ভালো ভিজিটর পাবেন।


আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে বাংলা এবং ইংরেজি আর্টিকেল পাবলিশ করেন। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে সিপিসি খুব বেশি পাবেন। কারণ বাংলা আর্টিকেল লেখলে সিপিসি রেট অনেক কম আসে এবং english লিখলে আপনার সিপিসি রেট অনেক বেশি আসে এবং আপনার ইনকাম ভালো হয়।


তাই আপনি যদি আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে ইংলিশ আর্টিকেল পাবলিশ করবেন। এতে করে আপনার সিপিসি রেট অনেক ভালো হবে এবং আপনার ডলারও বেশি আসবে।


বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্লগ সাইট

আপনি যদি বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করতে চান। তাহলে বাংলাদেশের জনপ্রিয় কিছু ব্লক সাইট রয়েছে। যেখানে আপনি বাংলা আর্টিকেল লিখে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন নিতে পারবেন।

আপনি প্রতিমাসে বাংলা আর্টিকেল লিখে আট থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করতে চাইলে আপনার জন্য বাংলাদেশের সবচাইতে সেরা ছয়টি ওয়েবসাইটের নাম ও লিংক নিচে দেয়া হলো আশা করি এই ওয়েবসাইট গুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে।

  • আর্টিকেল টেলার ডট কম থেকে আর্টিকেল লিখে আয়

বাংলা ব্লগ লিখে আয়

আপনি যদি বাংলা ব্লগ লিখে আয় এ প্রশ্নটি করে থাকেন। অথবা বাংলা ব্লগ লিখে আয় করতে চান। তাহলে আপনি চাইলে ব্লগার ডট কমে একটি ওয়েবসাইট একাউন্ট খুলে বাংলা আর্টিকেল লিখে প্রতি মাসে ভালো ডলার ইনকাম করতে পারবেন। শুধু আপনাকে ব্লগ ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে এবং ওয়েবসাইট পরিচালনার সম্পর্কে বিস্তারিত সকল বিষয় জানতে হবে।

তাহলে আপনি প্রতিমাসে বাংলা ব্লগ লেখে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন লোক রেখে আর্টিকেল লিখে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে এসিও এক্সপার্ট ও ডিজিটাল মার্কেটিং এ এক্সপার্ট হতে হবে।

বাংলা ব্লগ লিখে আয় করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ধাপ রয়েছে। এগুলো আপনি যদি ফলো করে এবং প্রতিদিন স্টেপ বাই স্টেপ আপনার ওয়েবসাইট আর্টিকেল পাবলিশ করতে থাকেন তাহলে অবশ্যই একদিন ভালো ইনকাম করার দক্ষতা অর্জন করবেন।

বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশে ওয়েবসাইটে বাংলা আর্টিকেল লিখে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন। ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে বাংলা আর্টিকেল ইনকাম করতে পারবেন। উপরে দিকে বাংলাদেশের ছয়টি সেরা ওয়েবসাইট দেওয়া রয়েছে। সেখানে আপনি বাংলা ব্লগ লিখে প্রতি মাসে আপনি হ্যান্ডসাম একটি অ্যামাউন্ট পেতে পারেন।

আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে আপনার অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় ও ব্লগিং করার উপায় এবং ব্লগিং করার সেরা কয়েকটি ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

ব্লগিং সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর

ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা যায়?
ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা যায় এ সম্পর্কে কোন সঠিক তথ্য ধারণা করা যায় না। তবে প্রতি মাসে আপনি ১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং করতে কি প্রয়োজন?
ব্লগিং করতে প্রয়োজন একটি কম্পিউটার অথবা ডেস্কটপ অথবা ট্রি স্মার্টফোন। এর মধ্যে আপনি যে কোন একটি হলে ব্লগিং ওয়েব সাইটে আর্টিকেল লেখে আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং ওয়েবসাইট বা ব্লগিং করতে কোন অভিজ্ঞতার দরকার আছে কিনা?
ব্লগিং ওয়েবসাইট বা ব্লগিং করতে কোন অভিজ্ঞতার দরকার আছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে আপনার কোন অভিজ্ঞতা দরকার নেই। আপনি চাইলে বাংলাদেশের গুগল কোম্পানির ইউটিউব ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ভিডিও দেখে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন।

ব্লগিং ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স কতদিন পরে পাওয়া যায়?
ব্লগিং ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স কতদিন পরে পাওয়া যায় এ প্রশ্নের উত্তর হল আপনি ওয়েবসাইট তৈরির ১০ দিন থেকে এক মাসের মধ্যে গুগল এডসেন্স এপ্লাই করতে পারবেন।

ব্লগিংয়ের পেমেন্ট মাসের কত তারিখে দেয়?
ব্লগিংয়ের প্রেমেন্ট প্রতি মাসের ২৫ তারিখ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে গুগল কোম্পানি পেমেন্ট পরিশোধ করে থাকে।

গুগল এডসেন্সের মিনিমাম কত এমাউন্ট হলে আপনি পেমেন্ট পাবেন?
আপনি যদি প্রতিমাসে গুগল এডসেন্স থেকে মিনিমাম ১০০ ডলার ইনকাম হয় তাহলে  আপনি পেমেন্ট নিতে পারবেন।

সর্বশেষ কথাঃ ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় - ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায়

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনারা যদি আমার মতামত পেতে চান। যে বাংলাদেশের কোন ওয়েবসাইটে বাংলা আর্টিকেল বা ব্লগিং করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করবেন। আমার জানামতে বাংলাদেশের সেরা একটি ওয়েবসাইট হল অর্ডিনারি আইটি। এখানে রয়েছে বিশেষ সুবিধা। এখানে আপনার যোগ্যতা হিসেবে থাকতে হবে একটি কম্পিউটার বা ডেস্কটপ বা স্মার্টফোন এছাড়াও আপনার ন্যূনতম এসএসসি পাস হতে হবে।

এর সাথে আপনার লেখালেখি করার উপর হালকা অভিজ্ঞতা থাকলেও চলবে। বর্তমানে অর্ডিনারি আইডিতে ২ হাজার টাকা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। আপনি যদি এই কোর্সটি সম্পন্ন করেন। তাহলে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন নিতে পারবেন অর্ডিনারি আইটি ওয়েবসাইট থেকে।

এটা বড় সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি এখান থেকে তিন মাসে ইনকাম করতে না পারেন। তাহলে আপনাকে সম্পূর্ণ টাকা ব্যাক দেওয়া হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url