আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- প্রিয় ভিউয়ার্স। শুরুতেই আপনাদের জানাই আমের মধুর মাসের শুভেচ্ছা। আম খেতে পছন্দ করে না এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কাঁচা এবং পাঁকা আম দুটো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। আমরা সকলে কমবেশি আম খেয়ে থাকি। কিন্তু আমের সঠিক উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অবগত নয়। যারা আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ছেন। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে আপনাদের জন্য আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গেই থাকুন।
তাহলে চলুন আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। আম
বৈজ্ঞানিক নাম, আম কত প্রকার, আমের পুষ্টিগুণ, আম গাছের বৈশিষ্ট্য, আম খাওয়ার
উপকারিতা, আম খাওয়ার নিয়ম, আম খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
পেজের সূচিপত্র
- আম বৈজ্ঞানিক নাম
- আম কত প্রকার ও কি কি
- আমের পুষ্টিগুণ
- আম গাছের বৈশিষ্ট্য - আমের বৈশিষ্ট্য - আম পাতার বৈশিষ্ট্য
- আম খাওয়ার উপকারিতা
- আম খাওয়ার নিয়ম
- আম খাওয়ার অপকারিতা
- শেষ কথাঃ আম খাওয়ার উপকারিতা
আম বৈজ্ঞানিক নাম
উইকিপিডিয়া সূত্র অনুসারে আম ভারতীয় উপমহাদেশের একটি ফল। সাধারণত আমের আদি নিবাস দক্ষিণ এশিয়া। আর এই স্থান থেকে গ্রীষ্মকালীন অঞ্চলের একটি সাধারণ ফল হয়ে ওঠে সাধারণ আম বা ভারতের আম যার বৈজ্ঞানিক নাম ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা "Mangifera Indica"। আম সারা বিশ্বে প্রচলিত রয়েছে।
আম কত প্রকার ও কি কি
আম সাধারণত ৩৫ প্রকার। সারা বিশ্বের প্রায়ই না নাজাতের আম রয়েছে। যেগুলো প্রকার
সঠিক ভাবে বলা অসম্ভব । কিন্তু বিভিন্ন তথ্য অনুসারে ৩৫ প্রকারের আমের নাম এর
সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। নিচে ৩৫ প্রকার আমের নাম দেওয়া হল।
আম ৩৫ প্রকার আছে। এর বিভিন্ন জাত আছে যেমনঃ ১। ফজলী, ২। গোপালভোগ, ৩। ল্যাংড়া, ৪।খিরসা, ৫। অরুনা, ৬। আম্রপালি, ৭। মল্লিকা, ৮। সুবর্ণরেখা, ৯। মিশ্রিদানা, ১০। নিলাম্বরী, ১১।কালীভোগ, ১২। কাচামিঠা, ১৩। আলফানসো, ১৪। তোতাপুরী, ১৫। বারোমাসী, ১৬। কারাবাউ, ১৭।কেউই সাউই, ১৮। গোপাল খাস, ১৯। কেন্ট ম্যাংঙ্গো, ২০। সূর্যপুরী, ২১। পাহুতান, ২২। ত্রিফলা, ২৩।হাড়িভাঙ্গা, ২৪। ছাতাপুরী, ২৫। গুঠলি, ২৬। অ্যাষ্ঠা ২৭। ত্রিপাতি ২৮। আরচ ম্যাংঙ্গো ২৯। আমিতা আম ৩০। আরিষা পাত ৩১। যমজখিরি ৩২। বোম্বে ফজলী ৩৩। আড়ষ্ট আম ৩৪। শঙ্খ আম ৩৫।মারিচা ম্যাংঙ্গো ইত্যাদি।
আমের পুষ্টিগুণ
পাঁকা আমে প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকে। আমে প্রতি 100 গ্রামে 2740 মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন উপাদান রয়েছে। এতে 1.3 গ্রাম আয়রন ছাড়াও 14 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, 16 মিলিগ্রাম ফসফরাস, 16 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, 0.9 মিলিগ্রাম রেভোফ্লাভিন এবং 0.08 মিলিগ্রাম থায়ামিন রয়েছে। অসংখ্য খনিজ লবণ এবং বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে।
প্রচণ্ড গরমে, কাঁচা আম বা আমের রোজপটিয়াম শক্তি শারীরিক শীতলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মান নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞদের মতে, আমে প্রতি 100 গ্রাম 44 ক্যালোরি এবং পটাসিয়াম রয়েছে। এছাড়াও, 27 মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম এবং 54 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে। কাঁচা আমের কিছু অতিরিক্ত উপকারিতা রয়েছে যেগুলোর দিকে নজর দেওয়া উচিত।
আম গাছের বৈশিষ্ট্য - আমের বৈশিষ্ট্য - আম পাতার বৈশিষ্ট্য
আম গাছের বৈশিষ্ট্য। আম গাছ 10 মিটার (33 ফুট) ব্যাস এবং 35-40 মিটার (115-130 ফুট) উচ্চতা পর্যন্ত বাড়তে পারে। আম গাছের আয়ুষ্কাল দীর্ঘ; এর কিছু ধরণের এখনও 300 বছর বয়সে ফল উত্পাদন করতে দেখা যায়। এর প্রাথমিক শিকড় প্রায় 6 মিটার (20 ফুট) নীচে প্রসারিত। সরল, পর্যায়ক্রমে, চিরহরিৎ আমের পাতা 15-35 সেমি।
আমের বৈশিষ্ট্য। একটি দৃঢ়, পাথরের মতো কেন্দ্রবিশিষ্ট একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল যা সরস, অর্ধবৃত্তাকার এবং হলুদ, সবুজ বা লাল রঙের। এটি পাকলে খাওয়া যেতে পারে বা চাটনি বা চাটনি তৈরি করতে কাঁচা ব্যবহার করা যেতে পারে। কয়েক ডজন না হলেও বিভিন্ন ধরনের আম আসে, যার সবগুলোই আমাদের দোকানে কেনা যায় না।
আম পাতার বৈশিষ্ট্য। আমপাতায় অসংখ্য খনিজ পাওয়া যায়। এগুলি খনিজ, ভিটামিন, এনজাইম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিয়ে গঠিত। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে আমপাতা দিয়ে কী কী রোগের চিকিৎসা করা হয় তা বর্ণনা করা হয়েছে। আম পাতায় পাওয়া একটি সক্রিয় উপাদান মেনগিফেরিন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আম খাওয়ার উপকারিতা
গ্রীষ্মকালের মৌসুমী আমরা আম খেয়ে থাকি। কিন্তু আমের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা
সঠিক তথ্য জানিনা। আজকের পোস্টটি সম্পন্ন পড়লে আপনি আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
সঠিক ধারণা নিতে পারবেন। এবং জানতে পারবেন কি পরিমাণে আম খেতে হবে। নিচে আপনাদের
সুবিধার্থে আম খাওয়ার উপকারিতা দেওয়া হলো।
- আম স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- আম আরামদায়ক ঘুম বাড়ায়।
- আমের ফোলেট এবং আয়রন উপাদান শরীরে রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে এবং রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমায়।
- আমের গ্লুটামিক অ্যাসিড স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- একটি স্বাস্থ্যকর এপিথেলিয়াম বিকাশে সহায়তা করে।
- আমের উচ্চ ভিটামিন সি স্বাস্থ্যকর ত্বক, হাড় এবং দাঁতের উন্নতি করে এবং স্কার্ভি এবং অন্যান্য মুখের ঘা নিরাময়ে সাহায্য করে।
আম খেলে কি ওজন কমে
আম সেবন আসলে ওজন নিয়ন্ত্রণকে সহজ করে তুলতে পারে। আম দিবসে যাদের অতিরিক্ত চর্বির সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন আম খেতে পারেন। এটি আমের খোসায় উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যালের কারণে হয়। এই উপাদানটি চর্বি কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করে।আম খেলে কি গ্যাস হয়
খাবার সহজে হজম হবে এবং পেটে গ্যাস হবে না। ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে কাঁচা আম। তাই আপনার পেট প্রসারিত হলে কাঁচা আম খান। কয়েকদিন পর শরীরে পরিবর্তন আসবে।
আম খেলে কি ঘুম আসে
অতিরিক্তভাবে, নিউরোট্রান্সমিটার সেরোটোনিন ঘুমের দায়িত্বে থাকে। বিপরীতভাবে, ট্রিপটোফান মস্তিষ্কে ইনসুলিন শোষণকে সহজ করে। আর আমে পাওয়া গ্লুকোজ বা কার্বোহাইড্রেট ইনসুলিন নিঃসরণ বৃদ্ধির কারণ। আম কেন তারা আপনাকে ঘুমাতে দেয়।
আম দুধ খাওয়ার উপকারিতা
আম দুধ খাওয়ার একসাথে ফলে তাদের মধ্যে একটি হল শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে। আমাদের প্রতিদিনের ভিটামিন এ এর 20% এবং আমাদের দৈনিক ভিটামিন সি এর 33% চাহিদা পূরণ হয় 226 গ্রাম আমের দুধ খাওয়ার মাধ্যমে। এটি আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। আমে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে এবং প্রাকৃতিকভাবে ক্ষার থাকে।
আম খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে
একটি আমের মিষ্টতা এর ক্যালোরির 90% এর বেশি। এই কারণে, এটি ডায়াবেটিস রোগীদের
রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। আমের মধ্যে রয়েছে ফাইবার এবং বিভিন্ন ধরনের
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তে শর্করার প্রভাব কমায়। আমের ফাইবার রক্তে শর্করার
শোষণের গতি কমায়।
শিশুদের আম খাওয়ার উপকারিতা
আম মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য ভাল কারণ এতে অ্যামিনো অ্যাসিড গ্লুটামিন অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি 6 এর সাথে ব্যবহার করার সময় এটি বর্ধিত স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে উৎসাহিত করে। 4. ত্বকের জন্য উপকারী - ভিটামিন এ শিশুদের ত্বকের পাশাপাশি তাদের দৃষ্টিশক্তিকেও সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা
একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আম হল আয়রনের একটি শক্তিশালী উৎস, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, ভিটামিন এ, যা সুস্থ দৃষ্টি রাখতে সাহায্য করে এবং ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং শরীরে ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। পটাসিয়াম শরীরকে ফাইবার হজম করতে সাহায্য করে এবং তরল ভারসাম্য বজায় রাখে।
ডায়াবেটিস রোগীর আম খাওয়ার উপকারিতা
আমে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়। উপরন্তু, এই দুটি উপাদান একত্রিত হলে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে দ্রুত চিনির বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের সকালে প্রথমে আম খাওয়া উচিত। আমের চিনি সারাদিনের কাজে এভাবে ডায়াবেটিসকে খারাপ করতে পারে না।
আম বীজ চূর্ণ খাওয়ার উপকারিতা
যদিও এই সংবেদনশীল বীজগুলিতে কামড় দেওয়া পছন্দ, তবে তা করা বিপজ্জনক নয়। দুধ এবং শুকনো কাঁচা আমের বীজ ব্যবহার করুন। ফলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। আমের বীজের গুঁড়ো ব্যবহার রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিপজ্জনক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
আম পাতার উপকারিতা
- রক্তচাপ কমায় আম পাতায় রক্তচাপ কমানোর উপাদান আছে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আম পাতায় ট্যানিন এবং অ্যান্থোসায়ানিন থাকে যা ডায়াবেটিস নিরাময়ে সাহায্য করে।
- শ্বসনতন্ত্রের সমস্যা নিরাময় করে।
- কান ব্যথা কমায়।
- পোড়া সারাতে।
- ইউরিক এসিডের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে।
- স্ট্রেস কমায়।
- কিডনির পাথর দূর করে।
আম খাওয়ার নিয়ম
গ্রীষ্মকালীন ফলের রাজা হল আম। আম খেতে আমরা ছোট থেকে বড় সকলেই পছন্দ করি। আম
আমরা সকলেই কম বেশি খেয়ে থাকি। আম খাওয়ার বিশেষ উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে যা
আমাদের সকলেরই জানতে হবে। আর তাই আম খাওয়ার পূর্বে আমাদের আম খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে জানা উচিত। আর তাই আপনাদের সুবিধার্থে নিচে আম খাওয়া সঠিক নিয়ম
সম্পর্কে জানানো হলো।
- আম আমাদের খাবারের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। তাই সকালে ও বিকালে আমাদের খাবারের চাহিদা পূরণের জন্য আম খাওয়া উচিত।
- আম জুস করে খাওয়া উচিত না। কারণ আম জুস করে খেলে আমের ফাইবার ও পুষ্টিগুণ কমে যায়। আর তাই আম খাওয়ার সময় পাঁকা আম অথবা কাঁচা আম কেটে পরিমাণ মতো টুকরো করে খাওয়া উচিত।
- আমে চিনির উৎস থাকে তাই যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন। তারা আম খাওয়ার সময় কম পরিমাণে আম খাবেন।
- যারা শরীরে ওজন বাড়াতে চান তারা অতিরিক্ত আম খাবেন না। কারন আম ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- যারা মুখে ঘা সমস্যায় ভুগছেন। তারা কাঁচা আম খেতে পারেন। কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন সি এর বড় উৎস। কাঁচা আম খেলে আপনি মুখে ঘা থেকে মুক্তি পাবেন।
- যাদের মুখে রুচি কমে গেছে। তারা মুখে রুচি বাড়াতে কাঁচা আম কেটে কাঁচামরিচ, লবণ, সরিষার তেল দিয়ে মেখে খেতে পারেন। আপনার মুখে রুচি বাড়াতে সাহায্য করবে।
- গর্ভাবস্থায় মায়েদের কাঁচা আমের আচার খাওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খেলে স্বস্তির অনুভব করবেন। এতে বমি বমি ভাব হবে না। ও মাথাব্যথা দূর হয়ে যাবে।
- কাঁচা আমের ভর্তা করে খেতে পারেন। কাঁচা আমের ভর্তা অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। অনেকে আছে যারা কাঁচা আম ডালের সঙ্গে খেতে ভালো পছন্দ করে। তারা চাইলে কাঁচা আম ডালের সঙ্গে অনেক স্বাদের সঙ্গে খেতে পায় এতে কোন অসুবিধা নেই।
আম খাওয়ার অপকারিতা
আম খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে। ঠিক তেমন আম খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে। তাই
আমাদের আম খাওয়ার পূর্বে আম খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানা জরুরী। নিচে আপনাদের
সুবিধার্থে আম খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানানো হলো।
- যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে। তারা আম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ অতিরিক্ত আম খাওয়ার ফলে আপনার এলার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
- যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তারা অতিরিক্ত পাঁকা আম খাবেন না। পাঁকা আম খেলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- গর্বঅবস্থায় মায়েরা পাঁকা আম অতিরিক্ত খাবেন না। অতিরিক্ত পাঁকা আম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অনেকে আছেন যারা আম জুস খেতে পছন্দ করেন। আমের জুস খেলে আমের পুষ্টিগণ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে আপনার পেটের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- আমের আচার মিষ্টি বেশি খাওয়া উচিত না। অতিরিক্ত বেশি মিষ্টি আমের আচারে দিলে বুক জ্বালার মত সমস্যা হতে পারে।
-
অতিরিক্ত পাঁকা আম খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং বমি হতে পারে।
শেষ কথাঃ আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
বন্ধুরা, আপনারা যারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। তারা নিশ্চয়ই আম বৈজ্ঞানিক নাম, আম কত প্রকার, আমের পুষ্টিগুণ, আম গাছের বৈশিষ্ট্য, আম খাওয়ার উপকারিতা, আম খাওয়ার নিয়ম, আম খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আম খাওয়ার উপকারিতা জন্য আমের মৌসুমে আমাদের সকলেরই পরিমাণ মতো আম খাওয়া উচিত।
সব সময় একটি কথা মনে রাখবেন কোন ফল অতিরিক্ত হওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত যে কোন ফল
খেলে শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।