২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস সম্পর্কে আলোচনা করা হল?

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হল একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গ সহ সমস্ত বাংলাভাষী অঞ্চলে পালিত একটি বিশেষ দিবস। যা ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ১৯ নভেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয। এটি শহীদ দিবস হিসেবে পরিচিত ।




 ১৯৫২ সালে এই দিনে ৮ ই  ফাল্গুন, ১৩৫৮ বৃহস্পতিবার বাংলাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকায় আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর  পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ ছাত্র শহীদ হন । যাদের মধ্যে রফিক, জব্বার, শফিউর, সালা্‌ বরকত উল্লেখযোগ্য । এবং এই কারণে এই দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে।


সূচিপত্রঃ

  • একুশে ফেব্রুয়ারি কি দিবস
  • একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য
  •  একুশে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
  • একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে কিছু কথা
  •  একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস 
  • একুশে ফেব্রুয়ারি কেন পালন করা হয়
  • একুশে ফেব্রুয়ারি স্লোগান
  • একুশে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ কত  

একুশে ফেব্রুয়ারি কি দিবসঃ

একুশে ফেব্রুয়ারি কি দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি কি হয়েছিল সে সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। পাঠক বন্ধুরা আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা রইল । মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে জাতি মঙ্গলবার একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ভাষা শহীদ দিব এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করবে। একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য অনেকে আমাদের জীবন থেকে আজ হারিয়ে গেছে । অনেক প্রাণের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি বাংলাদেশের স্বাধীনতা । 


কত শত প্রাণের বিনিময়ে আমাদের এই  বাংলা  ভাষায় আমরা কথা বলি । ১৯৯৯ সালে ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত দেওয়াই, বিশ্বজুড়ে একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস পালন করা হয়। শহীদদের স্মরণে রাখার জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস উদযাপন করা হয়।

একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্যঃ

সে ফেব্রুয়ারি আমাদের জীবনে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জীবনে একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে বাংলাদেশের  সমাজের সকলেই মিলে জীবন  উৎসর্গ করে গেছেন। ২১ শে ফেব্রুয়ারির জন্য আমরা আজ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমাদের এই বাংলা ভাষা । বাংলা ভাষার মর্যাদা রাখতে শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে একুশে ফেব্রুয়ারি বা অমর একুশে ভাষা শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে থাকি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বলা হয় । ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত দিয়েছে ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর । গোটা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে । 

 একুশে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যঃ

আজ এমন একটি দিন যে দিনটি না আসলে আমরা কখনোই মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলতে পারতাম না। পেতাম না একুশের চেতনার হাত ধরে লাল সবুজের পতাকা, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ। মহুয়ার ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে একদিনে তৈরি হয়নি বাঙালি জাতির অন্বেষণের ও অধিকার আদায়ের সচেতনায় বহিঃপ্রকাশ এই অমর একুশ। যার ধারাবাহিকতা 1952 সালে একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে সংলগ্ন আমলাতন্ত্র ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ।


 নজরুল আমিন সরকার আরোপিত ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রস্তুতি মিছিলে তারা ছাত্র সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০ জন মিছিল করে ১৪৪ ধারা ভাঙবে ছাত্র সমাজ প্রতিবাদ মিছিল করে১৪৪ দ্বারা ভাঙলো । পুলিশ বাহিনীর গুলিতে ঢালা বরকত রফিক জব্বার সহ অনেকে শহীদ হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি ফেব্রুয়ারি যদি সালাম বরকত রফিক জব্বারেরা মায়ের ভাষার দাবিতে প্রাণ না দিত তাহলে কখনোই আমরা রাষ্ট্রভাষা বাংলা পেতাম না। সে আন্দোলন কেবল ভাষার জন্যই ছিল না সে আন্দোলন ছিল পাকিস্তানি শাসক শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির দৃঢ় প্রতিবাদ বিভিন্নভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকেরা বাঙালিকে দমন প্রেরণ করার চেষ্টা চালিয়েছিল একুশে ফেব্রুয়ারি মানেই তাই মাথা নত না করার রক্তাক্ত ইতিহাস ধরে আমরা অর্জন করেছি আমাদের স্বাধীনতা । 

একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে কিছু কথা

একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে কিছু কথা আলোচনা করা যেতে পারে ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি একুশে ফেব্রুয়ারি কি দিবস এবং কত তারিখে আমাদের ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের কারণে পুলিশরা মিছিলের উপর গুলি চালায় এবং এগুলিতে অনেকে শহীদ হয় যেমন রফিক জব্বার সালাম সহ অনেকে পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির প্রতিবাদ যেন ইতিহাসের পাতায় একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবে পরিচিত এ দিনটি বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলন নিয়ে জড়িত ভাষা আন্দোলনের জন্য মর্মান্তক ও গৌরব উজ্জ্বল স্মৃতি বিচরিত একটি দিন হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে ১৯৫২ সালে এই দিনে  ৮ ই ফাল্গুন ১৩৫৮ বৃহস্পতিবার বাংলাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকায় আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর ১৪৪ ধারা ভঙ্গের কারণে পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ শহীদ হয়েছিল । এজন্যই একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবে প্রতিবছর পালন করা হয় ।

একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস

১৯৪৭ সালে তত্ত্বের ভিত্তিতে ভাগ হয়ে যায় ভারত আর পাকিস্তান ভারতের সাথে দেশভাগের পর ভাষা সংস্কৃতি ভৌগোলিক অবস্থানের ভিন্ন হওয়ার শর্তে শুধু মাত্র ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ওপর ভিত্তি করে পূর্ব পাকিস্তানের দুটি সম্পন্ন বিচ্ছিন্ন অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান নামে একটি রাষ্ট্র গঠিত হয়। সংস্কৃতি ভাষা শিক্ষা আচার আচরণ ইত্যাদি বিষয়ে অমিল থাকার কারণে দুই প্রদেশের জনগণকে একই কাতারে কল্পনা করা হয়েছিল না। জনসংখ্যার দিক দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও সিভিল সার্ভিস মিলিটারি ও গুরুত্বপূর্ণ সব রাষ্ট্রীয় পদে তাদের আধিপত্য বেশি ছিল ক্রমে নিজেদের শাসনকর্তা ও বাঙ্গালীদের প্রজা ভাবতে শুরু করল। শিক্ষা ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য তারা উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পরিকল্পনা করতে থাকে।


 এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে ঢাকার তমুদ্দিন তম মজলিসের সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল কাশেম এর নেতৃত্বে এর প্রতিবাদ সভা ও রেলি বের করা হয়। সবাই বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করা হয় এবং এ অবস্থায় চল্লিশ সালের ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। বিভিন্ন আত্মকেন্দ্রিক সিদ্ধান্তের কারণে স্বেচ্ছার হয়ে উঠে বাঙালি ফলে ১১ই মার্চ ১৯৪৮সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে পুনরায় মিছিল করা হয়। মিছিল করার অপরাধে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান, কাজী গোলাম মাহবুব, অলি আহাদ, শওকত আলী শামসুল হকসহ অনেকেই।

একুশে মার্চ ১৯৪৮ সাল। ঢাকা রেস্পট ময়দান তৎকালীন গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাদের ভাষায় ঘোষণা করেন উঠে সমগ্র বাংলা। মুখের ভাষা কেড়ে অন্যদের ভাষা বলার প্রশ্নই আসে না। এভাবে অতিবাহিত হয় আরো চার বছর । ২৭শে জানুয়ারি ঢাকা শহরে এসে খাজা নাজিমুদ্দিন পল্টনে এক সমাবেশে জিন্নাহর কথাই পুনরাবৃত্তি করেন। সে সময় ও একইভাবে জোরালো প্রতিবাদে 'রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, স্লোগান উঠে।

একুশে ফেব্রুয়ারি কেন পালন করা হয়

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। কিন্তু কেন প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশে আবারও এই দিনটি জাতীয় দিবস অর্থাৎ সরকারি ছুটির দিন। কেবল বাংলাদেশে নয় পশ্চিমবঙ্গ ভাষা শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু কেন একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। চলুন একবার ফিরে দেখা যাক সেই ইতিহাস প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত দুটি ভূখণ্ড এবং দুটি ভিন্ন ভাষার জাতিসত্তাকে মিলিয়ে ১৯৪৭ সালে জন্ম হয়েছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রের। জন্ম থেকেই মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের সূচনা হয়। আর এই ভাষা আন্দোলনকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পথে প্রথম পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়।

একুশে ফেব্রুয়ারি স্লোগান

৪৮ শে গর্জে ওঠা
 ভাষা আন্দোলনের পথ মাড়িয়ে 
বায়ান্নে ২১ ফেব্রুয়ারিতে এসে
রফিক রফিক জব্বার বরকতদের 
রক্তে রঞ্জিত ভাষার স্লোগান ।

মায়ের ভাষার দাবি নিয়ে 
গর্জে উঠুক একুশের স্লোগান
 বাংলা আঙ্গিনা পেরিয়ে 
আছরের পড়ছে বিশ্বজনীন
 মিলন মেলায় ।

একুশের ঊষালগ্নে 
প্রান্তর থেকে প্রান্তরে 
আজ  গেয়ে উঠে 
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো 
একুশে ফেব্রুয়ারি 
আমি কি তোমায় ভুলিতে পারি ।

এ গানের শেষ নেই
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে গাইবে
বাংলার আকাশ ,নদী  খাল- বিল
গাছ গাছালি, বনের পাখি, কাঠবিড়ালি ।

এ গানের মুসো নাই 
বাংলার কৃষাণ- কৃষানির কণ্ঠে
ভাসে মুক্তির অভিধান
ছাত্র -শিক্ষক, কবি ও শিল্পীর
রচনায় আসে নতুন নতুন গান
শিল্পীরা আকলেন 
নাট্য জনেরা লিখলেন
পেশাজীবীগণমেনে নিলেন
কৃষক -শ্রমিকের আঙ্গিনায়
ঘরে ঘরে জন্ম নিল
গণঅভ্যুত্থান ।

এভাবে বাহান্নর পথ বেয়ে
একুশের শহীদদের
রক্ত দিয়ে লেখা হলো
অমর সব স্লোগান ।

তোমার ভাষা আমার ভাষা
 বাংলা ভাষা বাংলা ভাষা 
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই ,
দিতে হবে, দিতে হবে । 

আমার ভাইয়ের বুকে গুলি কেন,
জবাব চাই, জবাব চাই 
আমার বোনের বুকে গুলি কেন,
জবাব চাই, জবাব চাই ।

গণে আন্দোলনের পথ  বেয়ে
স্লোগান এলো
সোনার বাংলার শ্মশান কেন
জবাব চাই,  জবাব চাই
তুমি কে আমি কে ?
 বাঙালি বাঙালি ।

পদ্মা মেঘনা যমুনা
তোমার আমার ঠিকানা
পিন্ডি না ঢাকা- ঢাকা ঢাকা
জিন্নাহ মিয়ার পাকিস্তান 
আজিমপুরের গোরস্থান ।

বীর বাঙালি অস্ত্র ধর
বাংলাদেশ স্বাধীন কর
বীর বাঙালি অস্ত্র ধর
সোনার বাংলা মুক্ত কর ।

লাখো শহীদদের রক্তে অর্জিত
মহান মোদের স্বাধীনতা
আমার প্রিয় মাতৃভূমি
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি ।

ভাষার জন্য ৫২ এর
পথ পরিক্রমায়
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
সংগ্রামী জনতার
ক্লান্তিহীন পথ চলায়
সমৃদ্ধ আজ বাংলা পথঘাট
কৃষাণ কৃষাণির  আঙ্গিনা ।

একুশের বুক চিরে জেগে ওঠা
বাঙালির শাশ্বত স্লোগান
দিচ্ছে যোগান
বাংলাকে দাবাইয়া রাখার শক্তি
আজ আর কার ও নেই
ঘরে বাইরে কোথাও না ।


একুশে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ কত 

বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি একটি স্মরণীয় অধ্যায় । একদিকে যেমন অর্জনের দিন অন্য দিকে হারানো বেদনার দিন। শাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে উনি ৪৭ সালে দেশ বিভাগ হয়। কিন্তু রাজ ক্ষমতার অধিষ্ঠিত পশ্চিম পাকিস্তানিরা প্রথমে আমাদের ভাষাকে নিয়ে চক্রান্ত শুরু করে। পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে উদ্যোগে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেয় সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভের ফেটে পড়ে বীর বাঙালি।, তারা ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে। মিছিল মিটিং এ চারদিক চারিদিক উত্তাল করে তোলে দেওয়া ১৪৪ ধারা। পাকিস্তানি শাসক বাহিনীর বাঙালির উপর বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষন করে। ১৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি শেষ রাজপথে শহীদ হন সালাম ,বরকত , শফিক সহ অজানা অনেকেই। কিন্তু দমন নীতি নিয়ে বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।। জীবনের বিনিময়ে বাঙালি ভাষাকে রক্ষা করে। অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তারপর থেকে প্রতিবছর এই দিনটি স্মরণে একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবে পালন হচ্ছে।

২১ ফেব্রুয়ারি ঘটনা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার আব্দুল গাফফার চৌধুরী লিখেন আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি গানটি। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে ভাষার জন্য আত্মত্যাগের এই বিরল ঘটনাকে সম্মান দিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃত দেয় ।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url